যে শহর একসময় মিছিল-শ্লোগানে ফেটে পরতো
সেই শহরে কাকেদের কর্কশ ধ্বনি ছাড়া কিছু কানে পরে না।প্রতিবাদ ভুলে আজকাল লোকেরা প্রয়োজন তালিকা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
ফুটপাতে পরে থাকা গোলাপ মাড়িয়ে গেলেও,
বিকেলের ক্লান্ত রোদ দেখার সময় মেলে না।
মানবিক মানুষগুলোকে বড্ড বেশি অভিনেতা মনে হয়।
যান্ত্রিক চোখে সজ্জা ছাড়া, মানবিকতার গল্প দাঁতে কাটে না।
পাখিদের গল্প লেখার সময় হয় না কবিদের,
কবিতার অক্ষরগুলো সাদা কাগজের কারাগারে,
আর ভাষাগুলোর গোরস্থান ছাড়া দেখা মেলে না।
অথচ, এই শহরে প্রতিদিন লেখা হতো কাঠগোলাপের ছন্দ।
ভোরের নিভু নিভু তারাদের উপাখ্যান হেটে বেড়াতো সন্ধ্যা অবধি,
বুকপকেটে ছুটে যেতো ছাপাখানায়।
বুড়ো বটগাছের ছায়ায় ঝাকড়া চুলের দল সিগারেট উড়িয়ে,
কতো কতো নকশা উড়িয়ে ছিল, এই শহরে।
❝না❞ শব্দের আলিঙ্গনে এক একটা সুখপাখি বনবাসে ফোরাতের বিভীষিকায়।
নিষিদ্ধ হতে হতে, কাগজের কারাগারে গারদ সংখ্যা বাড়ে।
তবু, গোরস্তানে ভাষাগুলোর কান্না প্রয়োজনের চিৎকারে কানে পরে না।
বিপরীত সময়