আমি ঠিক সেই দরজায় দাঁড়িয়ে,
যার বাহিরে পা বাড়ালে এক পশলা আলোর ঝলকানি অন্ধ করে দিতে পারে
আবার পেছনে গোরস্তানের অন্ধকার বেঁচে থাকা মানুষদের মাঝে ফেরাতে চায় না কখনো।
গোরস্তানের শূন্যতায় ফুসফুস গলে পাকস্থলীর ওজন বাড়াচ্ছে
পঁচা মাটির মেদে মগজের পোকাগুলো অসার
আকাশ থেকে ঝুলতে থাকা দড়জায় পা বাড়য়ে ক্লান্ত আমি
কিন্তু মাটিতে মিশে যাওয়া শরীর বাঁচতে চায়!
মুনকিরনাকিরের অবাধ্য প্রশ্ন
মরা ঈশ্বরের স্বেচ্ছাচারিতা
কেরামান কাতেবিনের বেহিসাবি গুণফল
অথচ, জংলী কাটায় আটকে থাকা কাফনের ফিতায়
ছুঁড়ে ফেলতে পারি না বেওয়ারিশ নিজেকে।
দরজা, কপাট, ছিটকিনি, আলোর ঝলকানি
কতকিছুই এলকোহলের গন্ধে মগজে গিজগিজ করে।
অন্ধ হয়ে যাওয়া, ছেড়া কাফন, পঁচা মাটি, ভারি হয়ে যাওয়া পাকস্থলী মগজে গিজগিজ করে।
জংলী কাঁটা ছাড়ে না, অবাধ্য প্রশ্ন হত্যা করে।
বেওয়ারিশ আমি পড়ে থাকি গোরস্থানে, শেয়ালের দাঁতের অপেক্ষায়....
জংলী কাঁটায় বেওয়ারিশ
১৪ নভেম্বর ২০২৩, বগুড়া (শেষ রাত)