প্রথম কিছু লিখেছিলাম সম্ভবত যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি, তারপর একগাদা কাগজ হিজিবিজি দিয়ে ভরিয়ে ছিলাম দ্বাদশ পর্যন্ত। একদিন হঠাৎ কি মনে করে সব পুড়িয়ে ফেলি। প্রথম বার আমার লেখালেখি নিয়ে কেউ সিরিয়াস নোট দিলো, ছোট চাচা মিল্টন। “এইসব হিজিবিজি তোর লেখার ভিত ছিল, নষ্ট করাটা ঠিক হয় নি”- চাচ্চু বললো, “নিজেকে বুঝতে আর নিজেকে অতীত আয়নায় দেখতে পুরোনোকে ছাড়তে নেই, লেখা তো কখনোই না”।
আজ পেলাম অনেক বড় দুটি কমপ্লিমেন্ট, সহজ বাংলা সম্ভবত প্রসংশা, কিন্তু কথাগুলো আরো বেশি ছিল।
সাকিদার স্যার বলে বসলেন, ক্ষুধা নিয়ে বাংলা ভাষায় তার পড়া কবিতার মধ্যে ৪ জনের নাম তিনি মনে রাখেন সব সময়।
১/ কাজী নজরুল ইসলাম
২/ রফিক আজাদ
৩/ সুকান্ত ভট্টাচার্য
৪/ আমি, মাসুক
শিশির শেষ লেখাটা পড়ে দুটো বাক্য বললেন, যা অনেক দিন বাদে কাগজ বুকে টেনে নিতে বাধ্য করবে। “আপনার লেখা পড়তে ভয় করে, কান্না থামাতে পারি না”,
সাকিদার স্যারের আর শিশিরের কথাগুলোতে মনে হচ্ছিল এইবার লেখাগুলোকে কবিতা বলে ঘোষণা করি। আমি আমার লেখাগুলোকে নিজেই কখনো কবিতা বলে ডাকি নি, পাঠকের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। তাদের ইচ্ছায় ছোটগল্প, কবিতা, হিজিবিজি, আঁচড় যা ইচ্ছা বলতে পারে। তাদের সাথে আমার কথা সংযোগ হোক এটার চেষ্টা করে গেছি।
আমি শব্দ শ্রমিক, মনের নকশায় নির্মাণ আমার কাজ। নির্মাণ নির্বাচন, সে যারা পড়েন তাদের জন্যই থাক....