.........
মাকে নিয়ে আমাদের কথা কবিতার কোন শেষ নেই।
কেনই বা শেষ হবে!
পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে হাজার বঞ্চনা চেপে
স্বপ্নের কবর মাড়িয়ে যে ঈশ্বর আমাদের মানুষ অবয়ব দেয়
তাকে নিয়ে কেন একসাগর কালিতে লেখা হবে না মহাকাব্য!
তা বলে বাবাদের নিয়ে একটা রচনা সমগ্র হবে না?
হ্যাঁ, নাড়ি ছিড়ে পৃথিবীর আলো তিনি দেখান নি
কিন্তু ঈশ্বর যখন কাদা মাটিতে আমার অবয়ব দিচ্ছিলেন,
তখন নরম মাটি শক্ত শিলায় পরিণত হবার হাত থেকে বাঁচাত তার চেষ্টা?
তার জন্য তো একটা নিদান কাব্য গ্রন্থ হতে পারে না?
বাবাদের কি স্বপ্নের বিসর্জন নেই?
পুরুষতান্ত্রিকতার আগুনে তার মগজ গলে শহরে অলিতে গলিতে পরে থাকত।
এখন শুকিয়ে হালকা দাগের মতো দেখায়।
প্রতিদিন সেই মগজে পা রেখেই তো নিজের স্বপ্ন রঙিন হয়।
পিতৃত্বের মুখোশ তাদের ভেজা চোখ দেখা যায় বলে কি
তাদের কান্না আসে না?
কাল পিচে ফেটে যাওয়া পায়ের গোড়ালিতে নিজের ছায়া পিষে ফেলে
এগিয়ে যাওয়া মানুষটার জন্য অন্তত একটা পঙতি রচনা হতে পারে না?
(অপ্রয়োজনীয় লাইন: বাবাদের জন্য যখন অভিধানের কালো অক্ষর হারিয়ে যায়, মাতৃভাষার গর্ব তখন ক্ষুন্ন হয়।)
২৩/১২/২০২১
বোদা, পঞ্চগড়
No comments:
Post a Comment