আমি আকাশে তাকাই না,
কারণ ঈশ্বর তুমি আকাশে বাস করো।
আমি আমার দুই বাহু শূন্যে মেলে ধরে উচ্ছ্বাস করি না,
ওই উচ্ছ্বাসের নাম তুমি প্রার্থনা দিয়েছো।
আমি কাঁদতে ভুলে গেছি,
চোখের পানিতে তোমার করুণা আসে,
আর তোমার করুণা ভিক্ষা করি না।
তোমার নামে যত স্থাপনা আমি সব উপড়ে ফেলে
মানব মন্দির স্থাপনের শর্তে জন্মেছি।
আমার প্রথম মৃত্যুর সময় আকুতিতে ভিক্ষা চেয়েছিলাম,
চেয়েছিলাম তুমিও বাস করো তোমার সুন্দরতম সৃজনে।
কিন্তু তোমার পাসা খেলার শেষে,
আমার মৃত্যুর পরমুহূর্তে
তোমার আড়মোড়া ভাঙার শব্দে,
আমাকে জানানো হয়েছিল তুমি মানবিক শব্দের জনক হলেও মটেও তা নও।
আমি মাটিতে ঘৃণা নিয়ে হাটি,
তোমার স্বর্গের ঠিকানা পেয়ে আমি দক্ষিণের বাতাস গায়ে মাখি না।
আমি মহাশূন্যে তোমার কলংক আঁকি,
যে মহাকালের তুমি শপথ করো,
আমি তার কাছে তোমার নালিশ এনেছি।
পৃথিবী যখন খুধায় কাতর,
যখন রক্তাক্ত শিশু শূন্য ঠোঁটে রাত যাপন করে,
যখন নবজাতকের ছেড়া পা কুকুর মুখে তুলে নেয়,
যখন পিতারা ভুলে যায় নিজেদের স্বত্বা,
তখনো তোমার বাগানে মজুরেরা ব্যস্ত থাকে মদিরার নহর প্রস্তুতে।
ডানা ঝাপটিয়ে একে একে প্রস্তুত করা হচ্ছে বেশ্যালয়ের রমনীদের,
আর নির্লজ্জ তোমার সঙ্গীরা ভোগের অপেক্ষায় তাদের বিবস্ত্র শরীর।
তোমার সৃষ্ট সব মিছিলে দাঁড়াবে,
তোমরা সকল বৈষম্যের কথা শ্লোগানে ছড়াবে,
তুমি সমতার মালিক নও তা চিৎকার করে জানাবে পৃথিবী।
আর আমি,
আমার তাবত অপ্রাপ্তি, যা প্রাপ্য ছিল আমার
দুমড়িয়ে-মুচড়িয়ে সমস্ত বিস্ফোরণে তোমার নামে অস্বীকৃতিতে বিলীন হবার প্রশ্রয় খুঁজে নেবো।
১৩ জানুয়ারি ২০২২
বোদা, পঞ্চগড়।
Friday, January 21, 2022
ঈশ্বর তুমি আকাশেই বাস করো
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment