অনিচ্ছা নিয়েও ছাড়ছি তোমার শহর।
যতগুলো স্মৃতির জন্ম হবার সম্ভাবনা ছিল,
হয়তো তোমার ইচ্ছেতেই হালে বাতাস পেল না একটিও।
পাখিদের সাথে শেষ আলাপটা বাকি রেখেই ছেড়ে গেছে সন্ধ্যা
সেই সাথে ঢাকা পরেছে কাজলের রেশ তোমার চোখে।
পুরোনো গীর্জার ঘন্টার বিষাদ বাতাস ভাড়ি করার আগেই তুমি চাইলে উল্টো স্রোত,
দাড় বাইতে নিষেধ করলে ব্যর্থতার ভয়ে।
পিঁপড়েগুলো যখন অসময়ের বর্ষার সঞ্চারে মনোযোগী
তোমার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত তখন দূরে সরে থাকার।
শেষ যুদ্ধের বাঁশি বাজাতে যে সৈনিক অনাগ্রহ নিয়ে জুতোর ফিতে বাঁধছিল,
তার হাতে আফিমের শিশি তুলে নেয়ার ছবি আঁকতে হচ্ছে আমার।
তোমার শহরের পুরোনো শ্যাওলাগুলো বুঝতে পারে
ভালোবাসার দিনগুলো আর সুর তোলে না সেতারে,
যখন খোয়ে যাওয়া রাস্তাটা বিলিন হবার আগে
আর একবার পথ দেখাবে বলে বুক বাড়িয়ে দেয়,
যখন অসমাপ্ত গল্পগুলো হাতড়ে চলে শেষ শব্দগুলো
তখন সৈনিকের আফিম শব্দ শোনার আগে তুমি ছিড়ে ফেলো শেষ ক্যানভাস।
আরো হাজার নিরব রাতে তোমার প্রতিক্ষা নিয়ে মেঘেরা ভির করবে আমার দরজায়,
ভিষণ অপমানে মুখ লুকানো আগে
আমি খুজতে থাকবো কাজল রেখা
আর নীলাভ টিপের পরিনতি।
শেষ না হওয়া গল্পটা মুনকার নাকেরের সাথে হিসেবে বসবে
যেন দ্বিতীয় হাশরের আগে আমি ফুরিয়ে যাই।
*******************
দ্বিতীয় হাশরের আগে
৮ এপ্রিল ২০২২
দিনাজপুর
Wednesday, April 20, 2022
দ্বিতীয় হাশরের আগে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment