Friday, June 16, 2017

অনিমেষের চিঠি-৪

(শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব) 

মা,
৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ছিলে অপারেশন টেবিলে। নিশ্চিত ভাবেই ডাক্তাররা বলেছে ভালো আছো, এরপর নেয়া হলো 'পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড 'এ। সাদা কাঁচের দরজার বাহিরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি, স্পষ্ট দেখছি তোমাকে। কখনো বিছানা হাতরাচ্ছো, কখনো মনে হচ্ছে হাতের ইশারায় ডাকছো। জানি, সব ঘোরের মধ্যে। তবুও নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে।
জানি কিছুই হবেনা, জোড় ৮/১০ দিন তারপর স্বাভাবিক। ৬মাসের রেস্টে সম্পূর্ণ সুস্থ, তবুও বুক কাঁপছে, তবুও চোখ ঝাপসা হচ্ছে।

বাবাকে কোনদিন বলা হয়নি ভালোবাসি, সে সুযোগটাও নাই। তোমাকেও তো বলিনি মা! কেন যেন মনে হচ্ছে তোমাকেও হয়তো বলা হয়ে উঠবেনা।
মা, তোমাকে না আমি বড্ড বেশি ভালোবাসি। বাবার চেও বেশি।
তোমার হাত নাড়ানো দেখে খুব ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে, তোমার পাশে বসতে ইচ্ছা করছে। তোমার মাথায় হাত রেখে আদুরে গলায় বলতে ইচ্ছা করছে কতোটা ভালোবাসি।
জানো মা, এতোদিন তুমি যাদের এতো সম্মান আর ভালোবাসা দিয়েছো। যাদের আপন করে নিতে চেয়েছো, আজ তাদের স্বরূপ খুব ভালো ভাবেই ট্যার পাচ্ছি।
শুলে কষ্ট পাবে, এ জগতে তোমার জন্য তোমার সন্তানরা আর তাদের জন্য তুমি ছাড়া কেও নেই। একদমই কেও না, ঈশ্বরও না।

একথা গুলো তোমার কানে কোন দিন পৌছাবেনা। তবু বলছি, আমার ভালোবাসার কথা আমি বলবো, তুমি না শুনলে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।।
তুমি সুস্থ হও, আবার একটা চেলা কাঠের বাড়ি খাবো...

ইতি
অনিমেষ

Tuesday, June 13, 2017

অনিমেষের চিঠি-২

জীবনের অনেকগুলো সময় তোমার জন্য সাজিয়ে ছিলাম,
অনেকগুলো স্বপ্ন পরিপাটি করে তুলে রেখেছিলাম,
অনেক কথাও রেখেছিলাম নাবলা...!
কিন্তু কেন জানিনা,
তোমার জন্য লেখা কবিতাগুলো আর গান হয়ে উঠলো না!
ছন্দ হরিয়ে পাগলের প্রলাপে উবে গেলো।
কেন জানি,
অন্যের আঁচলে মাথা রেখেও
তোমার নিশ্বাসের আওয়াজ পাচ্ছি!
কি জানি,
হয়তো আজো তুমি গ্রাস করে আছো আমার স্বত্বা....

মাধবীলতা,
নাহ, তোমার জন্য চিঠিতে আজ আর কোন উপমা ব্যবহার করবোনা। তবে শেষ বার, হ্যা হয়তো শেষবার তোমায় জিগেস করবো " কেমন আছো?"।
১০ম শ্রেণির দুরন্ত এক কিশোরের হাতে যখন প্রথম সমরেশের "কালবেলা" উঠেছিল, ঠিক তখনি আমি ভালোবেসে ছিলাম মাধবীলতাকে। তারপর তার হাত ধরে জলপাইগুড়ির চা বাগানে গেছি কত্তোবার।
ও কালবেলাই আমার কাল হলো। নিজের নাম ছেড়ে অনিমেষ হলাম, শখের বসে ফেডারেশন করলাম, পুলিশের হাতে মারও খেলাম প্রচণ্ড। ইস্,  মনে হলে কোমরটা আজো টনটন করে। কি, হাসছো নাকি!
জানতো, এতো কিছুর পরেও না আমার অনিমেষ হয়ে ওঠা হচ্ছিল না। কেমন এক অন্যরকম অতৃপ্ততা পেয়ে বসছিল। ঠিক সে সময় তুমি, হ্যা এই তুমি কই থেকে যেন ঢুকে পরলে।
মনে হলো, মাধবীলতা ছাড়া কি অনিমেষ পূর্ন হয়েছে কোন কালে! অনেক আদরে তোমার জড়িয়ে নিলাম শেষ বাসনায়।
বিশ্বাস করো লতা, এতো গুলো রাত যে তোমায় ছাড়া কি করে পার করছি তা বোধহয় তোমাকেও বুঝাতে পারবো না।
আচ্ছা, আজো কি তোমায় ও নামে ডাকতে পারি আমি? নিষেধ করোনা দয়া করে, ও নামে যে আমি আর কাওকে ডাকতে পারবো না। তুমি চলে যাবার অনেক দিন হয়ে গেল। কিন্তু দেখো, সমরেশের মাধবী কিন্তু আজো ছাড়েনি অনিকে।
লতা, একটা মেয়ে সেদিন এসেছিল। চোখে লজ্জা আর আবেদনের ঝড় তুলে বলল, আমায় নাকি ভালোবাসে। আমি কি বলি বলো! অনেকটা তোমায় হিংসা করেই রাজি হয়েছি। রাত জেগে কথাও বলছি কিছু দিন হলো। অনেকটা তোমাকে বলার মতো করে।
কিন্তু যখনি বলতে যাই ভালোবাসি, কেমন জানি গলাটা কেও টিপে ধরে। মেয়েটা কেমন সরল ভাবে আমার হাতে হাত রেখে, হাসি মুখে, কখনো কাঁধে মাথা রেখে ভালোবাসার নকশা আঁকছে। তখন ঠিক  কোত্থেকে যেন তুমি ঢুকে যাচ্ছো।
লতা, জোড় করে আর যাই হোক ভালোবাসা যায় না। জেনেও আমি সে কাজটাই করছি। শুধু সমরেশকে ভুল প্রমাণ করতে। বলতে, "দেখো সমরেশ তোমার অনিমেষ পারেনি মাধবীলতা ছাড়তে। তুমি বলেছিলে লতাকে ছাড়া অনি একটা দিনও বাঁচবে না। কিন্তু আমি বেঁচে আছি, শুধু বেঁচে না অন্য কাওকে নিয়ে বেশ সুখেই।"
তুমি ভালো থেকো, অনেক ভালোবেস। তবে, এবার আমায় না....

অনিমেষ রহমান

চিঠি

শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব 

একটা চিঠি ছিল তোমার জন্য,
যে চিঠি এখনো লেখা হয়নি,
যে চিঠির ভাষায় কিছু অশ্রু ছিল,
কিছু কলজে ছেঁড়া রক্ত ছিল।
কিন্তু চিঠিটা এখনো লেখা হয়নি।

সেদিন গিয়েছিলাম হেড পোস্টমাস্টারের কাছে,
কথা গুলো বলে লিখিয়ে নিতাম।
বললেন,
কিন্তু বললে তার নাকি সময়ই হয়না....!
ঘুরে ঘুরে অবশেষে হাতপাতলাম আকাশের কাছে,
"আমার চিঠি লিখে দিতে না পারো অন্তত তার চোখে আমার হৃদয়ের ছবিটা তুলে দিও"

মুখ ফিরে একপশলা বৃষ্টি ঝরিয়ে চলে গেল...

অনিমেষের চিঠি-৫

সেদিন কেউ ছিলনা পাশে,
আঁচল বিছিয়ে একটুকরো শীতল ছায়া দেয়ার
প্রচণ্ড তাপদাহে
তোমার কণ্ঠে ঝরা লজ্জায়
চমকে চোখ বুজলাম। বুঝলাম,
আমি আর তৃষ্ণার্ত  নই।।

সমুজ্জ্বলা সংগীতা,
ভালো আছো কিনা এ প্রশ্ন করা বা ভালো আছি কিনা বলাও অবান্তর, ভালো থাকার যুদ্ধটাই আমরা করছি সবসময়। তাই সেবিষয়ে আলাপ বন্ধ।
অনন্য একটা দিন জীবনের পাতায় সাজিয়ে দেয়ায়, কৃতজ্ঞতায় কণ্ঠ রুদ্ধ আমার। প্রশ্ন বোধক চিহ্ন চোখের সামনে, মুছে যাবে কিনা জানিনা। তারপরেও, কেন জানিনা প্রচণ্ড ইচ্ছে করছে ঐ চিহ্ন আবারো তোমায় দেখাই। আচ্ছা, কেন ভালোবাসলে? কেন মনে হলো, আমি তোমার অপেক্ষায় আছি? কেন ভাবলে, উপত্যকাহীন মরুপথের যাত্রী আমি?
জানি, উত্তর আজো পাবো না।
সংগীতা, জীবনের অনেক গুলো বছর শেষ করেছি শুধু নিজেকে জানতে গিয়ে। কিন্তু ফলাফলের ঝুড়ি আগের মতোই শূন্য। এতো দিনে স্বপ্ন দেখছি, দেখতে শিখেছি, দেখাতেও শিখেছি। কিন্তু শব্দটা যুক্ত করেই বলতে হচ্ছে, স্বপ্নের স্বরূপ আনতে আমি আজো শিখিনি।
তুমি হয়তো বিশ্বাস করবেনা সংগীতা, আমি আজো ভালোবাসার কাঙাল! কাঙালির আগুন আমার শেষ অংশটাও ছাই করে ফেলছে।
তোমার কথা, চলন, চাহনি সবকিছু কেমন যেন আমার অপূর্ণতা আরো বাড়িয়ে দেয়। মনে হয়, একটু ছোঁয়া যদি পেতাম...
সংগীতা, অপূর্ণতা আমার পূরণ হবে কিনা জানি না। কিন্তু তুমি, তুমি যে আমার আকাঙ্ক্ষা তীব্র করছো। সে আকাঙ্ক্ষার স্রোতে আমি বাঁধ দিবো কিসে?
প্রলাপ আর না করাই ভালো। অনেক ভালোবেসো, অনেক কিছু পাবার আছে......

অনিমেষ

প্রলাপ

সময়গুলো চলে যাচ্ছে নিঃশব্দে,
মুহুর্ত গুলো কেমন কাঁপছে,
অনন্য এক নিস্তব্ধতায় পৃথিবী।

আমার শহর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শালিকের দল,
আমি দাঁড়ায়ে মাঝরাস্তায়।

সুখের দালালে ভরে যাচ্ছে নগরী,
ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে নিদ্রা,
ফুটপাতে চলছে বিদ্রোহ,
আর মাঠে শকুনের স্লোগান।

সোডিয়ামের কবিতা,
কাগজী  লেবু ভেজানো চা,
মুষ্টি করে দাঁড়ানো ছোকরাদের জবাব আর দিতে পারেনা।

সুধু কাতর কন্ঠে প্রেমীকার প্রস্থান দেখে
আর তন্দ্রা ঢাকা ভোরে অভিশাপ খোঁজে.........

জন্মভূমি যে কাঁদছে

হাওড় কাঁদছে,
পাহাড় কাঁদছে,
তিস্তা কাঁদছে,
তবে তোমার চোখে কেন পানি নেই!

মা কাঁদছে,
ভাই কাঁদছে,
বোন কাঁদছে,
ট্রেনের চাকায় বাবার গলা কাটছে,
তবুও তোমার চোখে কেন পানি নেই!

পুলিশের রাইফেলের আগুন তোমার প্রিয় শিক্ষকের বুকে,
আর্মির বুটের ছাপ তোমার চুলে ঢাকা কপালে,
সহকর্মীর ধূলায় লুটায়,
তোবু তোমার চোখে আগুন নেই কেন!

এবারতো জাগো!
একটা কিছুতো করো!
তোমার জন্মভূমি যে কাঁদছে....

অনিমেষের চিঠি - ০১

(শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব) 

প্রতি,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
ঠিকানাঃ ১৯৭১ সালের পর থেকে ভারত রাষ্ট্রের দক্ষিণ, পশ্চিম আর পুবে অবস্থান। তার আগে অবশ্য প্রায় সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়ে বাস করতো।
GPO নম্বরঃ ৩০, ০০০০০

প্রিয় বাংলাদেশ,
আমায় তুমি চিনবেনা। যদিও আমি তোমায় মা বলেই ডাকি। তোমার বক্ষে বাস করা ১৬ কোটি সন্তানদের ভিড়ে আমি এক সাধারণ বেকার।

বাংলাদেশ, তোমার মনে পড়ে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়টা। যখন তোমার বুকে বাসকারী কিছু মানুষ তোমায় বেশ্যাদের কাতারে আনতে চেয়েছিল। তখন তোমার বুকে তোমার সন্তানরাই জীবন দিয়েছিল মা, তোমার কি মনে আছে! আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলি।

বাংলাদেশ, এরপর '৭৫, ৮২, '৯০ এর পুরো দশক কি তোমার মনে পরে। তার পর '৯৬, ২০০১, ২০০৬ থেকে '০৮, তারপর ২০০৯। তোমার কি মনে পরে বাংলাদেশ, তুমি কি অনুভব করতে পারো এটা ২০১৭ সাল চলছে। যে '১৭ সালে আমার বোন, তোমারি কোন এক মেয়ে তোমার কোলেই পাহাড়ে পুড়ে কয়লা হলো। আর, তুমি কি করলে! বের করে দিলে এ
ওদেরই, ওই পোড়া মানুষদেরই নিজের কোল থেকে বের করে দিলে। কেন মা! আমার সবায় না তোমায় নিয়ে গান গাই "........আমি তোমায় ভালোবাসি", তবু কেন...?

বাংলাদেশ, তুমি কি রাতে ঘুমাও? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে। ফুটপাতের তোমার ওই আধা উলঙ্গ ছেলে মেয়েকে কি তুমি রাতে ভিজতে দেখেছো! শীতে কাঁপতে! আধপেটা হয়ে তুমি কি তাদের একটা বারও ঘুমাতে দেখেছো!
বাংলাদেশ তুমি সন্ধ্যায় কি করো? আমার ঘরে সন্ধ্যা বাতি দেয়া হয়। সন্ধ্যার আমরা আরো একটা ঘটনা জানি, ৭বছরে এক শিশু ধর্ষিতা হয়েছিল সন্ধ্যা বেলা। মেয়েটা না মারা গেছে, ওর বাবা অপমান সইতে বা পেরে ট্রেনের নিচে ঝাপদিয়েছে, তুমি কি তা জানো? আমরা যাদের মুক্তিযোদ্ধা বলি, মেয়েটার বাবা তাদের একজন।
বাংলাদেশ, তুমি কৃষকের কথা জানো! অথবা শ্রমিক কিংবা ছাত্র! তোমার বুকে জুয়া হয় জুয়া। মানুষের রক্তের জুয়া, তুমি কি তা জানো! ওরা খেতে চাইলে মার খায়, ওরা বেতন চাইলে জেল পায় এমকি ওরা পড়তে চাইলে ওদের গুলি করা হয়! তুমি কি তা জানো?

প্রিয় বাংলাদেশ, তোমার ছেলেরা অনেকে আজো ভাস্কর্য আর মূর্তি কি তা বোঝেনা। জয় বাংলা ছেড়ে আবার শ্লোগান উঠছে "তোমার আমার ঠিকানা মক্কা আর মদিনা", তোমায় যারা ছিবড়ে খেতে চেয়েছিল তাদের প্রেত আজ আবার ভর করেছে তোমার রক্ষী নামক ফেরিওয়ালাদের। বাংলাদেশ, তুমি কি তা জানো!

বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ, প্রিয় বাংলাদেশ, তোমার কাছে কি এমন চেয়েছি আমরা। দুবেলা দুমুঠো নুনভাতে একটা কাঁচা মরিচ, দুটো মোটা কাপড়, একটু শান্তির ঘুম আর মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার। খুব কি বেশি চেয়েছি! আমি জানি তুমি সব বুঝছো, তবে কেন চুপ! তোমার বিপদে আমরা তো চুপ ছিলাম না, তবে তুমি কেন!
জবাব না, বেঁচে থাকার অধিকার চাই। দেবে না গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ.....?

ইতি
এক বেকার ও অনিরাপদ নাগরিক।
বসবাসঃ বাংলাদেশ রাষ্ট্র, যার অবস্থান ভারত রাষ্ট্রের দক্ষিণ, পশ্চিম আর পুবে।

কামনা

শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব 


কে যেন চুপিসারে বলছে "ভালোবাসি",
আমি একমূহুর্তের জন্য থমকে গেলাম।
ঘরে ভেতরটা প্রচণ্ড অন্ধকার করে রেখেছি,
আজকাল এতে বেশ লাগে।
ঠিক বাম পাশের কাঁধে চাপা নিশ্বাস স্পষ্ট,
নাহ, চোখ খুলবো না।
এ গলা স্বর, নিশ্বাসের আওয়াজ আমার খুব চেনা।

চোখটা খুলেই ফেললাম একপলক দেখার লোভে,
দরজার চৌকাঠে কালোপেড়ে কি অদ্ভুত তুমি,  বুঝাতে পারবো না।
ডাগর চোখ, কাঁধ বেয়ে বুক ছাড়িয়ে লম্বা চুল, লাল রেশমি চুড়ি গুলো শিহরণ জাগায় আপনাতেই।
ভ্রু জোরার মাঝে বুঝি একটা ছোট্ট টিপ, ঠোটে আর গালে হালকা আবির। নাহ, বরং ঠোঁটে আরো বেশি কিছু ছিল।

ওধীর পায়ে আমার বিছানার পাশে,
আমার অসাড় শরীরের সজল চোখ শুধু একবার ছুতে চায়।
একবার আলতো ছোঁয়ায় তোমায় দেখতে চায় আমার গাঢ় নিশ্বাস।
হাতগুলো অবাঞ্ছিত কিছু ঘটিয়ে দিতে চায়।
কিন্তু, কিন্তু আমার অসাড় শরীর...

তবু তুমি এলে,
কি যেন খুঁজলে একবার,
বোধহয় লজ্জা,
তারপর....

নাহ, বাকিটা শুধু তোমার আর আমার...