বড় রাস্তার মোড়ে উদ্ভ্রান্ত এক যুবক আচমকা আমায় প্রশ্ন করলো,
“বলতে পারেন সবচেয়ে বড় ঈশ্বর কে?”
আমি হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে আমতাআমতা করে বললাম,
“এই ধরুন ইসলাম ধর্ম বলে আল্লাহ,
ঈশায়ীরা আল্লাহকে মানলেও সাথে যীশু,
হিন্দুর বলেন মহেশ্বর.... ”
আমাকে থামিয়ে দিয়ে যুবক বললো
“আপনার কাছে সবচেয়ে বড় ঈশ্বরের নাম জানতে চেয়েছি”।
এরপর অনেকগুলো রাত আরাধনা করেছি,
একেরপর এক ধর্মগ্রন্থগুলোর পৃষ্ঠা শেষ করেছি,
সেজদা থেকে শুরু করে চার্চের মোমবাতি ঝড়িয়ে চলেছি
তবু বড় ঈশ্বরের নাম জানা হলো না।
উদ্ভ্রান্ত যুবকের এমন আজগুবি প্রশ্ন ভুলতে বসেছিলাম দিনকতক পরে।
পেছন থেকে অট্টহাসির মতো আওয়াজে কে যেন প্রশ্ন করলো,
“কি, খোঁজ পেলেন বড়ঈশ্বরের?”।
হকচকিয়ে দেখি যুবকটি একগাল হেসে তাকিয়ে আছে।
উচ্চস্বরে সে বললো, জানি পারবেন না
অথচ রোজ আরাধনা করেন সেই ঈশ্বরের,
তার খোঁজে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ নাকাল হয়ে যায়,
প্রতি রাতে তার নামের প্রার্থনা কুড়েঘর থেকে অট্টালিকা পর্যন্ত।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঈশ্বরের নাম ভাত....
শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব,
সাতমাথা/বগুড়া
আসলেই তাই ভাত জিনিসটা সত্যি সবচেয়ে বড়ো ইশ্বর। খুদার জালা যার থাকে সেই জানে ইশ্বর কি জিনিস । অসাধারণ কবিতা। আমি সোহেল
ReplyDeleteধন্যবাদ সোহেল রানা, এভাবেই কবিতার পাশে থাকুন,...
Delete