(শেখ মাসুকুর রহমান শিহাব)
লোহা, সোনা, রুপা পিতল সব নাকি খাঁটি হতে আগুনে পোড়ে।
মানুষ আগুনে পুড়লে কি হয় জানেন?
বস্তির ঘর, শেষ সম্বল, সস্তায় কেনা সাধের লাল শাড়ি?
জানেন?
রাস্তার পাড়ে লম্বা লম্বা দালানগুলানে আগুন লাগে না,
কাঠ, খড়, পলিথিন আর ভাঙ্গা টিনের বস্তিতে আগুন লাগে কেন? জানেন?
গরিবের রক্ত পোড়ে,
হ, গরিবের রক্ত পোড়ে জন্যই ঢাকার শহরে আসমান সমান দেয়াল উঠে,
রক্ত-ঘাম-শরীর পোড়ায়েই রিক্সা নিয়ে শখের শহরে ঘোরে প্রেমিক জুগল,
গরিবের বয়স পোড়ে জন্যই সোনালী রঙের সাজ উড়ে বেড়ায় মরার শহরে,
এই শহর আরো সোনালি করতেই কি গরিবের বস্তি পোড়ে?
ছাই হয়ে যাওয়া স্তুপের মধ্যে থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আনে শেষ সম্বল,
পেট তো সহ্য করে না, ঘরের আগুনে ক্ষুধার আগুন মরে না।
পুড়ে যাওয়া আঁচল শুকায় না,
ছাই দিয়ে শরীর ঢাকে না,
স্বপ্ন পরে থাকে
ছাই চাপা চোখে স্বপ্ন দেখা যায় না।
বস্তিগুলাতে কেন আগুন লাগে জানেন?
হাড় মাংসের মানুষ থাকলেও ভাঙ্গাচোরা ঘরে সামাজিক প্রভুরা থাকে না।
(২৪ নবেম্বর ২০২০, বগুড়া)
কতদিন যে কবিতা পড়িনা তা মনে নায়। নতুন করে লকডাউন ঘোষনার পর থেকে কবিতা পড়ছি। লুতুপুতু কবিতা পড়ে পেট ভরছিল না। অনেক দিন পরে পেট ভরে কবিতা পড়লাম। দারুন কবিতা। একদিন বস্তি, লাল শাড়ি, শ্রমিক, ক্ষেতমজুর পুড়িরে আগুন লাগবে সমাজে, যে দিন সমাজও খাঁটি হবে....
ReplyDeleteপাঠকের চাহিদা পূরণ হয় বা তাদের পড়তে ভালো লাগে এমন মন্তব্য পেলে নিশ্চয়ই ভালো লাগে। ভবিষ্যতেও এই ডায়েরিতে আপনার মন্তব্য পাওয়া যাবে এমনটা প্রত্যাশা করছি।
ReplyDeleteGo ahead dear , beautiful.
ReplyDelete